শচীন টেনডুলকারের প্রাপ্তি বিশ্বকাপ ২০২৩

ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য সুখবর।  শচীন টেনডুলকার কে ভালোবাসেন না এমন মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। তাই শচীন প্রেমিকদের জন্য আজ একটি সুখবর নিয়ে আসলাম। শচীন টেনডুলকারের প্রাপ্তি বিশ্বকাপ ২০২৩ কি তা নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই পোস্টে।
বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার তা সত্যই খুব আনন্দের খবর। ক্রিকেট বিশ্বে শচীন টেনডুলকার তর্ক সাপেক্ষে ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত। যাইহোক, ভারতের এই সাবেক তারকা বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার তা বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

শচীন টেনডুলকার এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

শচীন টেনডুলকারের প্রাপ্তি বিশ্বকাপ ২০২৩ কি তা আলোচনার করার পূর্বে তাঁর সম্বন্ধে কিছু বলা দরকার। শচীন টেনডুলকার ক্রীড়া জগতের ক্রিকেটের রাজা। শচীন টেনডুলকার একজন সুপরিচিত খেলোয়াড়। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। তিনি একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে এখন পর্যন্ত ক্রিকেট জগতে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী।

শচীন টেনডুলকার এর ব্যক্তিগত পরিচয়

দেশ বিদেশে শচীন টেনডুলকার এর ভালোবাসা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। যাই হোক বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার তা জানার পূর্বে চলুন তাঁর ব্যক্তিগত কিছু পরিচয় তুলে ধরি।

নাম

শচীন রমেশ টেনডুলকার

ডাক নাম

লিটল মাস্টার, মাস্টার ব্লাস্টার, ক্রিকেটের লর্ড

পেশাদার

ব্যাটসম্যান

বয়স

৫০ বছর

পিতার নাম

রমেশ টেনডুলকার (মারাঠি উপন্যাস লেখক)

মাতার নাম

রজনী টেনডুলকার

জাতীয়তা

ভারতীয়

জন্ম তারিখ

২৪এপ্রিল ১৯৭৩

হোম টাউন

মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত

ধর্ম

হিন্দু

শখ

ঘড়ি, পারফিউম, সিডি সংগ্রহ করা, গান শোনা

বিয়ের তারিখ

২৪ মে, ১৯৯৫

বেটিং স্টাইল

ডান হাত

বোলিং স্টাইল

ডানহাতি লেগ স্পিন, অফ স্পিন, মাঝারি গতি

শচীন টেনডুলকার এর শিক্ষা জীবন

শচীন টেনডুলকারের প্রাপ্তি বিশ্বকাপ ২০২৩ কি তা জানার আগে চলুন তাঁর শিক্ষা জীবন সম্বন্ধে একটু আলোচনা করি। শচীন টেনডুলকার এর শিক্ষা জীবন খুব একটা ভালো ছিল না। তিনি পড়া লেখায় খুব একটা ভালো ছিলেন না। তিনি মধ্যবিত্ত্ব ছাত্র ছিলেন।
তিনি প্রথমিক শিক্ষার জন্য বান্দ্রার ইন্ডিয়ান এডুকেশন সোসাইটির নিউ স্কুলে ভর্তি হন। এরপর ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আগ্রহ দেখে ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচরেক এর পরামর্শে মুম্বাইয়ের দাদারের শারদশ্রম বিদ্যা মন্দিরে ভর্তি করানো হয়।

এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি মুম্বাইয়ের খলসা কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু তিনি পড়ালেখা শেষ না করেই মাঝ পথে পড়াশোনা বন্ধ করে দেন এবং ক্রিকেটকেই তাঁর জীবনের একমাত্র জায়গা করে তোলেন।

ক্রিকেট জগতে শচীনের যে ভাবে আগমন

ক্রিকেট জগতে শচীনের যে ভাবে আগমন। শচীন টেনডুলকার ছোট বেলা থেকেই পড়ালেখায় তেমন ভালো ছিলেন না। তাই পড়াশোনায় মনোযোগও বসাতে পারতেন না। সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সাথে বাসার সামনে ক্রিকেট খেলতেন।

ক্রিকেটে প্রতি শচীনের আগ্রহ দেখে তাঁর বড় ভাই অজিত টেনডুলকার তাঁর বাবার সাথে পরামর্শ করে ক্রিকেট প্রশিক্ষনের জন্য ক্রিকেট গুরু রমাকান্ত আচরেক এর কাছে নিয়ে যান। ক্রিকেট গুরু রমাকান্ত আচরেক শচীন টেনডুলকা এর প্রতিভা দেখে সকাল-সন্ধা অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ দিতেন। আর এখান থেকেই শচীন টেনডুলকার ক্রিকেট জগতে পা দেন।
শচীন টেনডুলকার এর বয়স যখন মাত্র ১৬ বছর, তখন তিনি প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হন। আর এর পর থেকে প্রায় ২৬ বছর ধরে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রিকেট খেলেন। চলুন দেখি বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার।

বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার

বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার। শচীন টেনডুলকার টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরী ও বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড ধারণ করে আছেন। তাই তাঁর সকল সাফল্য বিবেচনা করে ২০২৩ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসডর’ বা বৈশ্বিক দূত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই কিংবদন্তী শচীন টেনডুলকার ২০২৩ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসডর’ বা বৈশ্বিক দূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী ৫ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্ব আসরের ১৩-তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে ট্রফি নিয়ে মাঠে আগমন করবেন।

বিশ্বকাপের যে উদ্বোধনী ঘোষনা, এটিও করবেন কিংবদন্তী লিটল মাস্টার শচীন টেনডুলকার। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শচীনকে ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসিডর’ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার তা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।

বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শচনের মন্তব্য

বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার তা নিশ্চয় এতক্ষণ বুঝে গেছেন। চলুন দেখি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শচীন টেনুলকার এর মন্তব্য কি? তিনি বলেন, “ভারতে ছেলেদের ২০২৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে তুমুুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি থাকা স্পেশাল দল ও খেলোয়াড়দের সাথে আমিও এই দূর্দান্ত টুর্নামেন্টির জন্য রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছি।”
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন পাওয়া শচীন টেনডুলকার এর প্রত্যাশা, এবারের বিশ্বকাপ হবে অনুপ্রেরণাদায়ী, বিশ্বকাপের মতো বিখ্যাত ইভেন্টগুলো এখনকার তরুণদের মনে স্বপ্নের বীজ বপন করবে। 

শেষ কথা

শেষ কথা হিসেবে বলতে চাই, শচীন টেনডুলকার এর যে অ্যাচিভমেন্ট, তা এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলে শেষ করা যাবে না। তাই এখানে তাঁর জীবনের সামান্য অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই বিশ্বকাপ ২০২৩ এ যে গুরুদায়িত্ব পেলেন শচীন টেনডুলকার আশা করি তা বঝতে পেরেছেন।

আর সব শেষে একটি কথায় বলতে চাই যে, এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে অন্যেরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। শওকত রাশেল

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url