কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়?

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? প্রিয় পাঠক, এটা হল আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। মানুষকে দুঃখ দেওয়া খুব সহজ ব্যাপার। কিন্তু কাউকে আনন্দ দেওয়া বা কারো মন ভালো করে দেওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। তাই অনেকেই জানতে চান যে, কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়?
কাউকে হাসানো খুব সহজ কথা নয়। তাই কিভাবে কাউকে আনন্দ দেবেন? কিভাবে কাউকে হাসাবেন? কিভাবে কাউকে মজা দেবেন? কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? কিভাবে নিজেকে আকর্ষনীয় করা যায়? কিভাবে নিজেকে অন্যের কাছে মজাদার করে তুলবেন?

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই পোস্টে। তাই কিভাবে নিজেকে অন্যের কাছে মজাদার করে তুলবেন? তা জানতে হলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়?

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়?

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? আসলে কাউকে আনন্দ দেওয়া বা মজা দেওয়া এটা সবাই পারে না। এই গুণটি সবার মাধ্যে থাকে না। এটি একটি আল্লাহ তা’য়ালার দেওয়া আলাদা একটি নিয়ামত। তাই এই কাজটি সবাই করতে পারে না। তাই অনেকেই যখন এমনটি করতে যায়, তখন এটি অন্যের কাছে আনন্দের না হয়ে, হয়ে যায় ছ্যাবলামি, যা অন্যের কাছে হয় বিরক্তিকর।

আবার এমন অনেকেই আছে যার মধ্যে এই গুণটি আছে। তাই তারা কোন কথা বললেই মানুষের মাঝে হাসি আসে। যেমন ধরুন, ভারতের কপিল শর্মা’র কথায় বলি। তিনি সাধারণ কথাগুলো এমন ভাবে বলেন, যে তার কথা শুনে যে কেউ হেসে ফেলে।

আসলে মজা দেওয়ার ব্যাপারটা কোন ট্রেইনিং দিয়ে শেখানো যায় না। আর এর কোন ধরাবাঁধা নিয়মও নেই। তারপরেও কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এইসব বিষয় নিয়ে নিচে আরো কিছু আলোচনা থাকছে, তাই আমাদের সাথেই থাকুন।

জোকস করে কথা বলা

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? আসলে এটা সবার জন্য নয়। তারপরও যদি আপনি নিজেকে অন্যের কাছে মজাদার করে তুলতে চান, তাহলে আপনি জোকস করে কথা বলুন। যখন কারো মন খারাপ থাকবে, বা কাউকে হাসাতে চান, তখন আপনি একটু জোকস করে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন আপনার শ্রোতা অবশ্যই খুশি হবে বা হেসে উঠবে।
যেমন ধরুন, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নাটকগুলোতে কিছু কিছু কথা এমন ভাবে উপস্থাপন করেন, যেন তা শুনলে না হেসে থাকা যায় না। যেমন তিনি তাঁর লিখা “বৃক্ষ মানব” নাটকে একটি সংলাপ আছে “আমি তে লেখা পড়া জানি না। গাঁঞ্জা খেয়েই কুল পাইনা, লেখাপড়া করুম কোন সময়”।

সর্বদা হাসিখুশ থাকা

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? যে ব্যক্তি নিজের ভেতরের আনন্দকে, রস-রোধকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে, সেই মজাদার ব্যক্তি। তাই আপনি নিজে সর্বদা হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। আর আপনার আনন্দকে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দিন।

চোখে চোখ রেখে কথা বলা

কিভাবে নিজেকে অন্যের কাছে মজাদার করে তুলবেন? কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর একটি উপায় হল চোখে চোখ রেখে কথা বলা। এজন্য আপনার ভেতর কনফিডেন্স আনতে হবে। আপনি যখন কারো সাথে কথা বলবেন, তখন চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন।

তাহলে আপনার কথার মাঝে আলাদা একটি পাওয়ার থাকবে। এতে করে আপনার উপর তার কনফিডেন্স বাড়বে। এর ফলে আপনার কথা তার ভালো লাগবে। আপনার গুরুত্ব বাড়বে। আশা করি, কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? তা বুঝতে পারছেন।

নিজেরে ভেতর খুব দ্রুত সিরিয়াসভাব আনবেন না

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর আরেকটি উপায় হল আপনার ভেতর খুব দ্রুত সিরিয়াসভাব না আনা। কারো সাথে কথা বলার সময় যদি কেউ আপনাকে কোন কষ্টদায়ক কথা বলে বসে, তাহলে সেটা নিরবে সহ্য করে নিবেন।

নিজের ভেতর খুব দ্রুত সিরিয়াসভাব আনবেন না। কারণ, আপনি যদি অল্পতেই সিরিয়াস হয়ে যান বা রেগে যান, তাহলে আপনি অন্যকে খুশি করার চেয়ে আপনি নিজেই বেশি কষ্ট পাবেন। তাই কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।

অন্যের প্রশংসা করা

কিভাবে অন্যকে আনন্দ দিবেন? কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর আরেকটি উপায় হল অন্যের প্রশংসা করা। আপনি যখন কারো সাথে কথা বলবেন, তখন আপনার নিজের প্রশংসা না করে তার প্রশংসা করুন।

এতে করে আপনার শ্রোতা খুব হবে ও আপনার সাথে কথা বলে মজা পাবে। তার জীবনের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে প্রশংসা করুন।

মানুষের আগ্রহ,  রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী কথা বলা

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এজন্য আপনি যার সাথে কথা বলবেন, তার কোন বিষয়ে আগ্রহ, তার রুচি কি, তার চাহিদা  কি? এই সব জেনে সে সব বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলবেন। আপনি যখন তার মনের কথাগুলো বা তার ভালো লাগা কথা গুলো বলবেন, তখন তিনি আপনার সাথে কথা বলে খুব খুশি হবেন ও কথা বলে মজা পাবেন।

নিজেকে অন্যের জায়গায় আসীন করা

কিভাবে নিজেকে অন্যের কাছে গুরুত্ব বাড়াবেন? কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর আরেকটি উপায় হল নিজেকে অন্যের জায়গায় আসীন করা। অর্থাৎ আপনি যখন কথা বলবেন তখন মনে হয় যেন সে তার মনের কথা বলছে।

এভাবে যখন আপনি আপনার শ্রোতার মনের ভেতরের কথা গুলো বলতে পারবেন। তখন তিনি আপনাকে অনেক গুরুত্ব দিবে ও আপনার সাথে কথা বলে তার ভালো লাগবে।

পর্যাপ্ত তথ্য নিজের ভেতর রাখা

কিভাবে নিজের মান বাড়াবেন? কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায়? কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর আরেকটি উপায় হল পর্যাপ্ত তথ্য নিজের ভেতর রাখা। অর্থাৎ, আপনার মাঝে অনেক বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার আশে পাশের মানুষের তথ্য রাখতে হবে।

দেশের খবর রাখতে হবে। খেলাধুলার খবর রাখতে হবে। ইসলামিক জ্ঞান থাকতে হবে। বিভিন্ন বিনোদন মূলক জ্ঞান থাকতে হবে। কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? আশা করি তা বুঝতে পারছেন।

মানুষের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে কথা বলা

কিভাবে নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরবেন? কিভাবে নিজেকে আকর্ষনীয় করা যায়? কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর আরেকটি উপায় হল মানুষের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে কথা বলা। মনস্তত্ত্ব হল একটি মানসিক বিষয়। যেমন- মন, আবেগ, ভালোবাসা, ঘৃণা, রাগ, ক্ষোভ, হতাশা, দুঃচিন্তা বিষয়ক নানা তথ্য, উপাত্ত ও বিশ্লেষণ।

মনস্তত্ত্ব বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে মনোবিজ্ঞান সর্ম্পকে জানতে হবে।  আপনি যদি কারো মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনাকে একটু সময় নিয়ে আগাতে হবে। এজন্য আপনাকে মনোবিজ্ঞান সম্পর্কিত দুই একটি বই পড়ে নিতে হবে।
আর আপনি যদি মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনাকে গভীর পর্যবেক্ষণকারী হতে হবে। কারণ, স্বাভাবিকভাবে যখন একজন সাধারণ মানুষ অন্য মানুষকে দেখে তখন তিনি গভীর পর্যবেক্ষণ করে দেখেন না।

তাই আপনাকে অনেক বেশি পর্যবেক্ষণকারী হতে হবে। আর আপনি যখন এই গুণটি অর্জন করতে পারবেন, তখন মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে বোঝা আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে। আর এই গুণটি যদি আপনি অর্জন করতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনে অনেক পজিটিভ প্রভাব পড়বে।কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।

আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলা

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? নিজেকে স্মার্ট করতে আপনার যা করা প্রয়োজন, তা হল আপনি যখন কারো সাথে কথা বলবেন, তখন আপনি পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলবেন। আপনার কথা বলায় যখন আত্মবিশ্বাস থাকবে, তখন আপনার শ্রোতা আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।

সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? কিভাবে কাউকে আনন্দ দেবেন? এর একটি উপায় হিসেবে আমি বলতে পারি, এজন্য আপনার মধ্যে সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে। আর এজন্য আপনাকে কিছু ভালো মানের বই পড়তে হবে। বিভিন্ন সাহিত্যিক জগতের জ্ঞান আপনার মধ্যে বৃদ্ধি করতে হবে।

আপনার মাধ্যে সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি আনার জন্য  সুন্দর কবিতা, গল্পের বই ও প্রবন্ধ  পড়তে হবে। সাহিত্যিক জগতে ভ্রমণ করতে হবে। এর ফলে আপনার মধ্যে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। আর আপনি যখন কারো সাথে কথা বলবেন, তখন যদি সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আপনার শ্রোতা আপনার সাথে কথা বলে অনেক মজা পাবে। এরফলে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

সামাজিক যোগাযোগ

কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? এর আরেকটি উপায় হিসেবে আমি বলবো সামাজিক যোগাযোগ। নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরতে হলে আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। সমাজের সকল সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে।

তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের ভাল-মন্দ বিষয়ের খবর রাখতে হবে। এরফলে সবাই আপনাকে গুরুত্ব দেবে ও যে কোন বিষয়ে আপনার কাছে পরামর্শ চাইবে। ফলে সমাজে আপনার গুরুত্ব বাড়বে।

শেষ কথা

শেষ কথা হিসেবে একটি কথায় বলতে চাই, প্রথমে আপনি নিজেকে সম্মান দিন। নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস আনেন, নিজের উপর কনফিডেন্স বাড়ান, সৎ হোন, অন্যকে সম্মান দিন। তাহলে দেখবেন সবার কাছে আপনার গুরুত্ব বাড়বে।

ফলে সবাই আপনার সাথে কথা বলবে এবং আপনার সম্মান বৃদ্ধি পাবে। আশা করি, কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করা যায়? তা ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষুণ যা আলোচনা করলাম, তা ছিল সবই আমার সাধারণ জ্ঞান থেকে। তাই আজকের আলোচনায় যদি কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে, ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন ও কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন যাতে অন্যেরা পড়েও উপকৃত হতে পারে। (শওকত রাশেল)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url