কিভাবে স্মরণশক্তি বাড়ানো যায় - ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায়

আসসালামু অলাইকুম! ‍প্রিয় পাঠক, আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ, এইটা আপনার দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত। প্রিয় পাঠক, মানুষের স্মৃতিশক্তি, স্মরণশক্তি, মেধাশক্তি বা ব্রেইন এর ক্ষমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আজকের পোস্টটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। দিন দিন আপনার স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে যাচ্ছে। এটা আপনার জন্য খুব দুঃচিন্তার বিষয়। তাই আজকে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যাতে আপানি জানতে পারবেন যে, স্মৃতিশক্তি, স্মরণশক্তি, মেধাশক্তি বা ব্রেইন এর ক্ষমতা কেন কমে যাচ্ছে?

তাই আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি সম্পূর্ণ পড়েন, তাহলে আপনি জানতে পারবেন, কিভাবে  স্মৃতিশক্তি, স্মরণশক্তি, মেধাশক্তি বা ব্রেইন এর ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন। তাই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলো জানতে হলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। চলুন মূল আলোচনায় চলে যাই।

পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ স্মরণশক্তি কমে যাচ্ছে - কিভাবে স্মরণশক্তি বাড়ানো  যায় - ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায়

স্মৃতিশক্তি সম্পর্কিত কিছ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

এই অনুচ্ছেদে স্মৃতিশক্তি সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরছি। যেমন- কোন ওষুধ খেলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়? স্মৃতিশক্তি কমার কারণ কি? কোন  ওষুধ খেলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়? কিভাবে স্মরণশক্তি বাড়ানো যায়? স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কি? কিভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়? কিভাবে মাথার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়? স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির বৈজ্ঞানিক উপায় গুলো কি কি? কোন ওষুধ খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে? স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সেরা ওষুধ কোনটি?

স্মৃতিশক্তি কমার কারণ

স্মৃতিশক্তি মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিভিন্ন কারণে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। যেমন- মদ্যপান ও নেশা জাতীয় দ্রবা দ্বারা নেশা করা, মাথায় আঘাত পাওয়া, মনে আঘাত পাওয়া, মানসিক দুঃচিন্তা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, মাথার সার্জারী ও বয়স বৃদ্ধির কারণে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
স্মৃতির কেন্দ্র হলো মাথার ভেতরের নিউরণ। যে কোন ভাবে যদি এই নিউরণ আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা আক্রান্ত হয়, তাহলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। বিশেষ করে মানুষ যখন মানসিক যন্ত্রণায় থাকে বা মানসিক দুঃচিন্তায় থাকে, তখন স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।

কোন  ওষুধ খেলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়

কোন ওষুধ খেলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়? ও কোন ওষুধ সেবন করা উচিত নয় তা নিয়ে থাকছে এই অনুচ্ছেদে। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের জন্য যেসব ওষুধ দায়ী, তা নিচে দেওয়া হলোঃ

  • প্যারাসিটামলঃ স্মৃতিশক্তি হ্রাসের জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ অনেকাংশে দায়ী। কারণ, অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবনের ফলে তা কিডনিতে জমা হয় ও ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। এর ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।
  • ব্যথার ওষুধঃ অতিরিক্ত ব্যথার ওষুধও স্মৃতিশক্তি হ্রাসের জন্য দায়ী। যে কোন ব্যথার ওষুধ অতিরিক্ত খেলে কিডনির উপর প্রভাব পড়ে ও কিডনিকে ধীরে ধীরে ড্যামেজ করে দেয়। কিডনির কার্যকারিতা লোপ পাওয়ায় স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে থাকে।
  • অ্যালাট্রোল ও হিসটাসিনঃ অ্যালাট্রোল ও হিসটাসিন মস্তিস্কের উপর প্রচন্ড প্রভাব ফেলে। সাধারণত কোন অ্যালার্জির জন্য অ্যালাট্রোল দেওয়া হয়। এছাড়া সর্দির জন্য অ্যালাট্রোল ও হিসটাসিন দেওয়া হয় যা মস্তিস্কের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, এই সব ওষুধ সর্দিকে জমিয়ে ফেলে। যা আমাদের নাসারন্ধ্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
  • কাশির সিরারঃ স্মৃতিশক্তি হ্রাসের জন্য যে কোন কাশির সিরাপও দায়ী। কারণ, কাশির জন্য মূলতঃ দায়ী হল Rhino Virus, যা কিছু Virus এর সমষ্টিকে বোঝায়। তাই কাশির সিরাপের পক্ষে এই ভাইরাস দমন করা সম্ভবপর হয় না। ফলে এই কাশির সিরাপ মস্তিস্কের ক্ষতি সাধন করে ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য কারো নাম, ফোন নাম্বার, জায়গার নাম ও কোন বিষয় বা ঘটনার বিষয় মনে রাখতে পারেন না বা ভুলে যান। কিন্তু এতে করে নিরাশ হলে চলবে না। আপনাকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। আজকে আপনার জন্য এমনি কিছু টিপস ও ওষুধের নাম বলবো যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। তাই স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার উপায় গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত থাকছে।

মস্তিস্কের আকার বৃদ্ধিতে ব্যায়াম করতে হবে

খুব সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। কিভাবে স্মরণশক্তি বাড়ানো  যায় এর একটি উপায় হিসেবে ব্যায়াম করতে হবে। কারণ, ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে পেশি  শক্তির সাথে সাথে মস্তিস্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করার মাধ্যমে মগজে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আর আপনি যদি বাইরের পরিবেশে ব্যায়াম করেন, তাহলে অতিরিক্ত পাবেন ভিটামিন ডি।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হাঁটার অভ্যাস করুন

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হাঁটার অভ্যাস করুন। কারণ, হাঁটার মাধ্যমে আপনার মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই কেউ যখন হেঁটে হেঁটে কোন পড়া মুখস্ত করে বা কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে, তাহলে সেই পড়া খুব সহজেই স্মরণে থাকে।

এছাড়া, পায়ে হেঁটে নতুন নতুন জায়গায় বেড়াতে যান। নতুন বন্ধু’র সন্ধান করুন। কথোপকথোনের মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করুন। এতে করে মস্তিস্কের অনেক উপাকারিতা বাড়ে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সঠিক খাবার গ্রহণ করুন

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। আপনার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ, শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কম বেশি হলে আপনার মনেও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। আবার যেসব খাবার আপনার পছন্দ, সেই সব খাবার গ্রহণ করুন।  তাহলে আপনার মনেও খুশি খুশি ভাব থাকবে।

তবে মস্তিস্কের শক্তি বৃদ্ধি বা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য পেটের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ মানব দেহেরে পরিপাকতন্ত্রে ১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব বসবাস করে। এই সকল অনুজীব মস্তিস্কের সাথে সংযোগ রক্ষা করে। তাই মস্তিস্কের সুস্থতার জন্য অণুজীব গুলোর ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
মস্তিস্কের কোষ ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ দিয়ে তৈরি। তাই আপনার খাবার তালিকা থেকে তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দেওয়া যাবে না। বাদাম, তেলের বীজ, মাছ ইত্যাদি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অবসর সময় বের করুন

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য অবসর সময় বের করুন। দীর্ঘদিন ধরে কাজের চাপ, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, মাত্রার চেয়ে বেশি মানসিক চাপ শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই আপনার কাজের ফাঁকে অবসর সময় বের করুন। এতে করে আপনার স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে। ফলে জরুরী প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার শক্তি পাওয়া যায়।

নতুন কিছু করুন

ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে নতুন কিছু করুন। নতুন কিছু করার মাধ্যমে ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য আপনি ছবি আঁকতে পারেন। বিদেশি ভাষা শিখতে পারেন। কুরআন মাজিদ ও হাদিসের বই পড়তে পারেন। বন্ধদের সাথে অনলাইন গেইমস খেলতে পারেন।

বিছানায় শুয়ে পড়ার অভ্যাস করা

ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে আপনি যখন দিনের বেলায় নতুন কিছু শিখছেন, তখন আপনার মস্তিস্কে একেটি স্নায়ুকোষের সাথে নতুন আরেকটি স্নায়ুকোষের সংযোগ তৈরি হয়। আপনি যখন শুয়ে থাকেন বা ঘুমিয়ে পড়েন, তখন সেই সংযোগ  আরও বেশি জোরদার হয়। দিনের বেলায় যা শিখছেন, তখন তা স্মৃতি হিসেবে জমা হয়।

এজন্য আপনি যদি রাতে শোয়ার সময় কোন পড়া বা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়েন, তাহলে পরদিন সকালে খুব সহজেই তা মনে করতে পারবেন। এজন্য পরীক্ষার সময় যখন কোন ছাত্র শোয়ার সময় কোন প্রশ্নের উত্তর মনে করার চেষ্টা করে, তাহলে পরের দিন তা খুব সহজেই মনে করতে পারবে।

পর্যাপ্ত ঘুম

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। তাই ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাকে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না। পর্যাপ্ত ঘুমালে মস্তিস্ক সুস্থ থাকে, তাই স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। এজন্য আপনি পতিদিন রাতে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমাবেন। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। দিনে অন্ততঃ ১০ মিনিট ধ্যান করুন।

অ্যালকোহল ও নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জন করুন

ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে আপনি অ্যালকোহল ও নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জন করুন। কারণ, অ্যালকোহল ও নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিস্কের ক্ষতি সাধন করে। আপনার স্মৃতি শক্তির বিলোপ সাধন করে। তাই আপনার স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য সকল প্রকার অ্যালকোহল ও নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জন করতে হবে।

স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর দোয়া

জিব্রাইল (আঃ) যখন রাসূল (সাঃ) এর নিকট ওহী নিয়ে আসতেন। তখন তিনি তাঁর সাথে ওহী পড়া ও মুখস্ত করার চেষ্টা করতেন, যা তাঁর জন্য ছিল অনেক কষ্টকর।

তখন আল্লাহ তায়াল এ আয়াত নাজিল করেন ও রাসূল (সাঃ) এর কষ্টও কিছুটা লাঘব হয়। ও তিনি সহজেই ওহী মখস্ত করতে সক্ষম হোন।

আল্লাহ তায়াল বলেন - فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا - 
অর্থাৎ, “সত্যিকার মালিক আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কুরআন গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না এবং বলুন, হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” (সুরাঃ ত্বহা, আয়াত-১১৪)

স্মৃতি শক্তি মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য নিচের দোয়াটি পড়া উত্তম।
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا -
উচ্চারণঃ “রাব্বি জিদনি ইলমা।” অর্থ - হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।”
এই দোয়া নিয়মিত পড়লে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।

স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর সেরা ওষুধ

প্রিয় পাঠক, এবার জানতে পারবেন, কোন ওষুধ খেলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে? বা স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর সেরা ওষুধ কোনটি? হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে “ব্রেইন টনিক” নামের একটি সিরাপ আছে। এই সিরাপটি স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে। আবার, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে “Anacardiaum 30" নামের একটি ওষুধ আছে। এই ওষুধটিও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শেষ কথা

শেষ কথা হিসেবে একটি কথায় বলতে চাই যে, উপরের আলোচনা গুলো আবারও একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ও মেনে চলার চেষ্টা করুন। আশা করি, কিছু দিনের মধ্যেই আপনি ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।

এতক্ষুণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে অন্যেরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। (শওকত রাশেল)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url