অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় pdf - স্মার্ট ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় পাঠক, স্মার্ট ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস হিসেবে আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়। অফিসিয়াল ফোনের সুবিধা, আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে কি কি সমস্যা হয়? অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য, অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম এই সকল কিছু থাকছে এই আর্টিকেলে।
এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায়, আর শাওমি অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় কি তাও জানতে পারবেন, এছাড়া REALME অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় নিয়ে থাকছে বিস্তারিত।

জনপ্রিয় স্যামসাং অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় জানার জন্য এবং রেডমি অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় সহ আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি এই বিষয়গুলো জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় - স্মার্ট ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় - স্মার্ট ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

স্মার্ট ফোনের গুরুত্বপূর্ণ টিপস হিসেবে অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি এতোগুলো টাকা খরচ করে মোবাইল কিনবেন, কিন্তু অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম জানেন না, তাহলে তখন তো রিটেইলার আপনাকে নকল ফোন দিয়ে দেবে। আর আপনি সেটা বুঝতেও পারবেন না। তাই মাস্টার কপি মোবাইল চেনার উপায় আপনাকে জানতে হবে। 

অফিসিয়াল ফোন চেনার কোড

অফিসিয়াল ফোন চেনার কোড জেনে নিন, তাহলে আপনার ফোনটি অফিসিয়াল না আনঅফিসিয়াল তা জানতে পারবেন। অফিসিয়াল ফোন চেক করার জন্য নিচের পদ্ধতিটি অবলম্বণ করুন, তাহলে অফিসিয়াল ফোন চেনার কোডটি পেয়ে যাবেন।

বিটিআরসি মোবাইল চেক করার জন্য প্রথমে আপনার ফোনের ম্যাসেজ অপশনে যান। এরপর টাইপ করুন KYD, এরপর একটি স্পেস দিয়ে টাইপ করুন ১৫ ডিজিটের ফোনের IMEI কোড। এরপর সেন্ড করুন ১৬০০২ নাম্বারে। এরপর একটি ফিরতি ম্যাসেজ পাবেন। এই ম্যাসেজে ফোনের যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকবে যা দেখে আপনি জানতে পারবেন ফোনটি আসল কিনা।

অফিসিয়াল ফোনের সুবিধা

অফিসিয়াল ফোনের সুবিধা অনেক। অফিসিয়াল মোবাইল হল এটি একটি বৈধ মোবাইল। যে সব মোবাইল গুলো সরকার কর্তৃক অনুমদিত অর্থাৎ বাইরের দেশ থেকে যখন কোন মোবাইল দেশে প্রবেশ করে, তখন ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এই সব মোবাইল গুলো হলো অফিসিয়াল ফোন।

অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম টি আপনি এতোক্ষুণ জেনে গেছেন। তাই আপনি যখন কোন ফোন কিনবেন, তখন উপরের নিয়ম অনুযায়ী তা চেক করে দেখে কিনবেন।
প্রথমত আপনি অরিজিনাল ফোনটি পাচ্ছেন। তাই এই ফোনটি কেনার সময় আপনার কাছে সকল ডকুমেন্টস থাকবে। যদি কোন সময় এটি হারিয়ে যায়, তাহলে আপনি তা ট্রাক করে এই ফোনটি খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন।

আপনার ফোনটি যদি অরিজিনাল হয়, তাহলে ফোন কোম্পানী কর্তৃক কোন ফিচারস আপডেট হলে, তা আপনি আপডেট করতে পারবেন। এছাড়া আরো অনেক কিছু আছে যা আপনি আনঅফিসিয়াল ফোনে কখনোই পাবেন না।

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য আপনাকে জানতে হবে। কারণ, বর্তমান সময়ে বাজারে  দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানীর ফোনে ছেয়ে গেছে। তাই আসল ফোন কিনলে সুবিধা কি? ও আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে কি কি সমস্যা হয় তা জেনে নিন।
  • বাইরে থেকে যেসব স্মার্ট ফোন সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে, এগুলো অফিসিয়াল ফোন। আর অন্যদিকে যে সব ফোন সরকারকে কোন ভ্যাট-ট্যাক্স না দিয়ে প্রবেশ করে সেগুলো আনঅফিসিয়াল ফোন।
  • অফিসিয়াল ফোনের আএমইআই নাম্বারটি সরকারের ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু যেসব ফোন অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল, সেই সব ফোনের আএমইআই নাম্বারটি সরকারের ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে না।
  • আপনার স্মার্ট ফোনটি যদি অরিজিনাল হয়, তাহলে আপনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যেমন- আপনার ফোনটি যদি বৈধ হয়, আর আপনার ব্যবহারের সময় যদি কোন প্রবলেম হয়, তাহলে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে আপনি ফোনটি  সার্ভিস করার সুযোগ পাবেন।
  • কিন্তু আপনার ফোনটি যদি আনঅফিসিয়াল বা ডুপ্লিকেট বা নকল হয়, তাহলে এই রকম কোন সুযোগ পাবেন না। আসল ফোনে বা অফিসিয়াল ফোনে যে ওয়ারেন্টি থাকে, আনঅফিসিয়াল ফোনে সেই রকম কোন ওয়ারেন্টি পাবেন না।
  • অরিজিনাল ফোনে কোম্পানী কর্তৃক কোন আপডেট আসলে, আপনি সেই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। কিন্তু আপনার ফোনটি যদি নকল ফোন হয়, তাহলে কোন আপডেট ফিচার্স পাবেন না।
  • আপনার ফোনের যে IMEI নাম্বারটি আছে, সেটি দিয়ে আপনার ফোনটি আসল না নকল তা জানতে পারবেন। আপনার ফোনটি যদি অরিজিনাল হয়, তাহলে এই IMEI নাম্বারটি দিয়ে তা আসল না নকল চেক করতে পারবেন। কিন্তু আনঅফিসিয়াল হলে এই রকম কোন তথ্য পাবেন না।
  • অরিজিনাল ফোনটি যদি হারিয়ে যায়, তাহলে সেটি খুব সহজেই ট্রাকিং করে খুঁজে পেতে পারেন। এতে কোন ধরণের আইনি জটিলতায় পড়তে হয় না। কিন্তু আনঅফিসিয়াল ফোনটি হারিয়ে গেলে তা ট্রাকিং করে খুঁজে পেতে অনেক আইনি জটিলতা আসে।
  • অরিজিনাল ফোনটিতে যদি কোন অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে প্রাথমিক ভাবে তা ফোনটি যে নামে রেজিট্রেশন করা আছে, তার উপর দোষ আসে। কিন্তু ফোনটি বৈধ বলে তার অপরাধ বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আপনার ফোনটি যদি আনঅফিসিয়াল হয়, তাহলে তাকে বিভিন্ন আইনি জটিলতায় পড়তে হয়।
  • অফিসিয়াল ফোনগুলোর সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার জনিত সমস্যা খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু আনঅফিসিয়াল ফোন গুলোর সমস্যা লেগেই থাকে।
প্রিয় পাঠক, এই সকল বিষয় গুলোর জন্য আপনাকে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।

REALME অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

REALME অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় খুব সহজ। তাই আপনি যদি রিয়েলমি ফো কিনতে চান, তাহলে সেটি খুব সহজেই আসল না নকল জেনে নিন। REALME আসল ফোন চেনার উপায় টি জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আপনি যদি REALME ফোনটি অফিসিয়াল না আনঅফিসিয়াল সেটি জানতে চান, তাহলে খুব সহজ পদ্ধতিতে জানার জন্য রিয়েলমি’র ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এজন্য আপনি এই লিংকে ক্লিক করুন। এরপর আপনার ফোনের IMEI নাম্বারটি দিয়ে  Check Now বাটনে ক্লিক করুন।

এরপর আপনার ফোনটি যদি অরিজিনাল হয়, তাহলে এই ফোনের যাবতীয় তথ্য আপনি দেখতে পাবেন। আর যদি নকল ফোন হয়, তাহলে কোন তথ্য পাবেন না।

অরিজিনাল শাওমি ফোন চেনার উপায়

অরিজিনাল শাওমি ফোন চেনার উপায় বা আসল শাওমি ফোন চেনার উপায় খুব সহজ। এজন্য আমি আজকে অরিজিনাল শাওমি ফোন চেনার দুটি উপায় বলবো। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে।

অরিজিনাল শাওমি ফোন চেনার ১ম উপায়

অরিজিনাল শাওমি ফোন চেনার উপায় হিসেবে প্রথম যে উপায়টি বলবো, সেটি আপনি করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। এরপর আপনার ফোনের IMEI নাম্বারটি দিন। এবং ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে ভেরিভাই বাটনে ক্লিক করুন।

এরপর আপনার শাওমি ফোনটি যদি অরিজিনাল হয়, তাহলে এই ফোনের যাবতীয় তথ্য আপনি দেখতে পাবেন। আর যদি নকল শাওমি ফোন হয়, তাহলে কোন ধরণের তথ্য পাবেন না।

অরিজিনাল শাওমি ফোন চেনার ২য় উপায়

এবার দ্বিতীয় উপায়টি বলবো। এজন্য আপনি আপনার ফোনের IMEI নাম্বারটি ভালো ভাবে দেখুন। ১৫ ডিজিটের এই নাম্বারের ৭ম ও ৮ম নাম্বারটি ভালো করে দেখুন। এখানেই সব রহস্য আছে।

IMEI নাম্বারের ৭ম ও ৮ম নাম্বারে যদি ০৮ বা ৮০ হয়, তাহলে শাওমি ফোনটির কোয়ালিটি মিডিয়াম বা মানসম্মত। আর যদি ০১ বা ১০ হয়, তাহলে এটির কোয়ালিটি খুব ভালো। আর যদি ০০ হয়, তাহলে এটি অরিজিনাল শাওমি কোম্পানীর ফোন। কিন্তু যদি ০২ বা ২০ বা ১৩ হয়, তাহলে এটির কোয়ালিটি খুবই খারাপ।

স্যামসাং অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

স্যামসাং অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় অনেক গুলো আছে। এর মধ্যে আজকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় এর কথা বলবো।

স্যামসাং এর কোড IMEI

স্যামসাং এর কোড imei বের করে অরিজিনাল স্যামসাং ফোন কিনা তা চেক করতে পারবেন। এজন্য আপনি Samsung ফোনটি থেকে *#06# ডায়াল করুন, তাহলে আপনি খুব সহজেই স্যামসাং মোবাইলের আইএমইআই নাম্বারটি পেয়ে যাবেন।

Samsung Original Check Online

স্যামসাং অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় হিসেবে আপন samsung original check online পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন। কারণ এই পদ্ধতি খুব সহজেই করতে পারবেন। www.imei.info samsung চেক করার জন্য আপনি এই লিংকে ক্লিক করুন। স্যামসাং ফোনের ১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বারটি দিন। তাহলে আপনি ফোনের যাবতীয় সকল তথ্য দেখতে পাবেন।

স্যামসাং এর সেন্সর চেক - Samsung Sensor Check

স্যামসাং আসল ফোন চেনার উপায় হিসেবে এবার আপনি স্যামসাং ডিসপ্লে সেন্সর চেক করে জানতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনি স্যামসাং ফোন থেকে *#0*# ডায়াল করুন। এরপর যে পেইজটি আসবে, সেখান থেকে Sensor লিখাটির উপর ক্লিক করুন।

এরপর মোবাইলটি আপনার এক হাতের তালুর রাখুন ও অপর হাত মোবাইলের ডিসপ্লে এর উপর রাখুন। এখন এই স্যামসাং মোবাইলটি যদি কেঁপে উঠে, তাহলে বুঝবেন, এটি অরিজিনাল স্যামসাং ফোন। আর এটি যদি নকল ফোন হয়, তাহলে *#0*# ডায়াল করে কোন তথ্য আসবে না।

Samsung Check Serial Number

আপনি যদি samsung check serial number দেখতে চান, তাহলে এটি করার জন্য আপনার স্যামসাং মোবাইল থেকে *#0001# টাইপ করে ডায়াল করুন। তাহলে আপনি স্যামসাং এর সিরিয়াল নাম্বারটি দেখতে পাবেন।

ম্যাসেজের মাধ্যমে

অরিজিনাল স্যামসাং ফোন চেনার উপায় হিসেবে আপনি এবার ম্যাসেজের মাধ্যমে চেক করতে পারেন। এজন্য আপনাকে স্যামসাং ফোনটিতে একটি একটিভ সিম প্রবেশ করাতে হবে। এরপর ম্যসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন KYD, এরপর একটি স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বারটি দিয়ে সেন্ড করুন 16002 নাম্বারে।
ম্যাসেজ সেন্ড করার কিছুক্ষুণের মধ্যেই একটি ফিরতি এসএমএস পাবেন। এখানে স্যামসাং মোবাইলটি অরিজিনাল কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা থাকবে। আর যদি আনঅফিসিয়াল ফোন হয়, তাহলে এই রকম কোন তথ্য পাবেন না।

রেডমি অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় একই ভাবে করা যায়। আর রেডমি মোবাইলের দাম কত, রিয়েলমি অফিসিয়াল ফোনের দাম কত, বর্তমানে স্যামসাং মোবাইলের দাম কত এবং শাওমি অফিসিয়াল ফোনের দাম ও অপ্পো ফোনের বিডি প্রাইস সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে পরে আরেকটি পোস্ট লিখবো ইনশায়াল্লাহ।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে স্মার্ট ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস হিসেবে অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়, অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্যস, অফিসিয়াল ফোনের সুবিধা গুলো ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

যাইহোক, শেষ কথা হিসেবে বলতে চাই, আশা করি, এই পোস্টটি পড়ে আপনি অ্যান্ডরয়েড মোবাইল কেনার আগে করণীয় উপায় হিসেবে ফোনটি অরিজিনাল কিনা তা বের করার নিয়মটি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

আর এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, যাতে অন্যেরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। এতক্ষুণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। (শওকত রাশেল)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url