শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় - শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ

আসসালামু আলাইকুম! এই পোস্টে আপনারা শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ সে সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা দরকার। যারা শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ সে সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। 

এছাড়াও আজকে আরো যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হলো শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয়, শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার ও শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে দোয়া সম্পর্কে। এমনকি শ্বাসকষ্ট হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে তা নিয়েও আজকে আলোচনা করবো। তো চলুন শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ সে সম্পর্কিত আজকের পোস্টটি শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় - শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায়

শ্বাসকষ্ট এমন একটি সমস্যা যেটি অনেক সময় অকারণেও হয়ে থাকে। সাধারণত শ্বাসকষ্ট বেশিরভাগ শীতে হয়ে থাকে। অধিকাংশ ললোকের মধ্যে শীতে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাছাড়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে কোনো ডাক্তার এর কাছে গেলে অনেক সময় ডাক্তার পর্যন্ত হিমশিম খেয়ে যান শ্বাসকষ্ট কেন হচ্ছে সেটির কারণ বের করতে। এছাড়াও আমরা বেশিরভাগ মানুষেরা জানি না শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় কি ও শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় কি সে সম্পর্কে। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আমাদের সবার উচিত শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় ও শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় কি সে সম্পর্কে জেনে রাখা।

তো যারা শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই অংশটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে এই পাঠটি পড়েন তাহলে শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় নিয়ে আপনার আর কোনো চিন্তা থাকবে না। তো চলুন জেনে আসি শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় ও শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় সম্পর্কে। 
শ্বাসকষ্ট বোঝার অনেক উপায় রয়েছে। সাধারণত শ্বাসকষ্ট হঠাৎ করে হতে পারে। যখন শ্বাসনালী স্ফীত এবং সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন এটি দেখা দেয়। যার ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল হয় না এবং ফলস্বরূপ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাছাড়া হাঁপানি হলে তখন শ্বাস নেওয়ার সময় শা শা একটা আওয়াজ হয়। এ থেকেও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আবার কাশি হলো শ্বাসকষ্টের অন্যতম লক্ষণ। ধুলো বালি, কুয়াশা, ইত্যাদি শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ায়। শ্বাসকষ্ট হলে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করে। নিশ্চয়ই শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এখন শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় কি তা জানবো।

শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় এর মধ্যে প্রথম যেটি করতে পারেন সেটা হলো পেটের পেশির মাধ্যমে ভালে ভাবে শ্বাস নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কোনো সমতল স্থানে শুয়ে পেটে হাত রেখে গভীর শ্বাস নিয়ে শ্বাসটি কিছুক্ষণ আটকে রেখে আবার ধীরে ধীরে ছাড়লে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় এর মধ্যে আরো যেসব করণীয় রয়েছে তা হলো হলুদে অনেক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। যা এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। দুধ ও হলুদ মিশিয়ে খেলে এ সমস্যা দূর হয়। তাছাড়া আদা চা বা গরম পানির সাথে আদা খেলে এ সমস্যা কমে আসে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে শ্বাস কষ্ট হলে করনীয় সম্পর্কে। 

শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ - শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার

আমাদের অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু এ শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ ও শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। তে যাদের মনে শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ ও শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার সে সম্পর্কে নানান প্রশ্ন ঘুরছে তাদের জন্য এই পোস্ট। আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ ও শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ ও শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার সম্পর্কে জানতে হলে পাঠ টি ভালো ভাবে বুঝতে হবে। আর শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ এবং শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার নিয়ে বুঝতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন জেনে নিই শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ ও শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার সম্পর্কে বিস্তারিত। 

শ্বাসকষ্ট হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো ডাক্তার এর পরামর্শ। ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। তবে  শ্বাসকষ্ট হলে যে ঔষধ গুলো খাওয়া যেতে পারে সেগুলো হলো মোনাস টেন নামক ঔষধ। এই ঔষুধ টি শ্বাসকষ্ট কে নিরাময় করতে ভালো কাজ করে। তাছাড়া আপনি আরেকটি ঔষধ রয়েছে যেটি শ্বাসকষ্ট দূর করতে ভালো কাজ করে সেটি হলো ডক্সোভেন নামক ঔষধ। তবে এই ঔষধ গুলো সেবন করার সময় অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধই খাওয়া উচিত নয়। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ সে সম্পর্কে। আশা করি শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ খাওয়া যাবে তা নিয়ে আপনার চিন্তা দূর হয়েছে। 
দিন দিন শ্বাসকষ্টের জন্য সিরাপ কিংবা ট্যাবলেট এর চেয়ে ইনহেলার এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনহেলার হলো যখন শ্বাস এর সঙ্গে ঔষধ নেবার পদ্ধতি। একটা কোটায় ঔষুধ থাকে যা ইনহেলার যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাসের সাথে নেওয়া হয়। এটির ফলে শ্বাসকষ্ট সমস্যা অনেক দ্রুতকাজ করে। তাছাড়া ঔষুধও কম লাগে। তো নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার ও শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষুধ সে সম্পর্কে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয়  ও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে দোয়া সম্পর্কে জানতে পরের অংশ গুলো পড়ুন। 

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় 

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় সেটা অনেক মানুষের অজানা। শ্বাসকষ্ট হলে যে খাবার খেলে ভালো হয় সেগুলো হলো ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন। এটি শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। তাছাড়া আদা এ রোগের জন্য অনন্য উপাদান। গরম পানি বা চায়ের সাথে আদা খেলে এ রোগের রোগীর জন্য ভালো। এছাড়া তাদের খাদ্য তালিকায় যেসব খাবার রাখা উচিত তা হলো আঙুর, লেবু, ব্রুকলি, তরমুজ। এসব খাবার শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য উপকারী। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হয় সে সম্পর্কে। এছাড়া নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে দোয়া সম্পর্কে জানতে নিচের অংশটি পড়ে নিন।

নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে দোয়া

আমাদের মাঝে মধ্যে নিশ্বাস আটকে যায় কিংবা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এরুপ হলে পবিত্র কুরআন শরীফ অনুযায়ী কিছু দোয়া রয়েছে। যে দোয়া গুলো পাঠ করলে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি দেন। দোয়া গুলো হলো- 
  • সূরা ইউনুস এর ৫৭ নং আয়াত : وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ (ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন।) অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।
  • সুরা শুআরা এর ৮০ নম্বর আয়াত : وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ (ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।) অর্থ : যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
  • 'ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি’ - এটা পাঠ করতে পারেন।
  • ‘রাব্বি আন্নি মাস্‌সানিয়াদ দুর্‌রু, ওয়াআন্তা আরহামুর রাহিমিন' - এটিও পড়তে পারেন।
নিশ্চয়ই এই দোয়া গুলো অন্তর থেকে পাঠ করলে আল্লাহ পাক আমাদের শ্বাসকষ্ট সহ যেকোনো রোগ থেকে সেফা দান করবেন। আশা করি আপনারা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে দোয়া কোন গুলো পড়তে হবে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়া শ্বাসকষ্ট হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে তা জানতে শেষের পাঠটি লক্ষ্য করুন।

শ্বাসকষ্ট হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে

আমাদের যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা কোন ডাক্তার কে দেখাবেন সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। এর জন্য 'পালমোনোলজিস্ট' ডাক্তার দেখানো উচিত। তবে শ্বাস কষ্টের অনেক কারণ থাকতে পারে। সেজন্য একজন general physician (MBBS) কে আগে দেখানো উচিত। বাকি সব সে ডাক্তারই বলে দিবেন। এতক্ষণে নিশ্চয়ই শ্বাসকষ্ট হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে এই চিন্তাটি দূর হয়েছে পাঠটি পড়ার মাধ্যমে। 
আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন এমন ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন৷ এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 18801

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url