মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে - মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস - আসল ফোন চেনার উপায়

বর্তমান সময়ে অন্যতম আলোচিত ও প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে মোবাইল বা স্মার্টফোন। আর এই মোবাইল বা স্মার্টফোনকে ঘিরে প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর মধ্যে। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে, মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস বা আসল ফোন চেনার উপায় - এ নিয়ে সকলের মনে অনেক  প্রশ্ন বা কৌতুহল জাগে।

তাই আজকের এই পোস্টে মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে বা মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস সম্বন্ধে বিস্তারিত থাকছে। এই পোস্টটি পড়লে আসল ফোন চেনার উপায় সম্বন্ধেও জানতে পারবেন। কত টাকা বাজেটের মধ্যে ভালো মোবাইল পাবেন তার বিস্তারিত সব তথ্য এই পোস্টটি পড়লে আশাকরি বুঝতে পারবেন।

পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্র

মোবাইলের দাম

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের দাম। তাই মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস হল সর্বপ্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে যে আপনি কেমন দামের মোবাইল কিনবেন। যদি আপনি মনে করেন ভালো মানের মোবাইল কেনার জন্য কত টাকা বাজেট হলে ভালো হয়?

তাহলে আমি বলবো ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা বাজেট হলেই আপনি ভালো মানের মোবাইল কিনতে পারবেন। এমন কি বর্তমান বাজারে ১৫ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোন গুলোতেও গেইমিং সহ লেটেস্ট মডেল ও আপডেট ফিচারসহ অনেক কিছু পেয়ে যাবেন যা আপনার দৈনন্দিন সকল কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

আসল ফোন চেনার উপায়

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল আসল ফোন চেনার উপায়। মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলো জানা থাকলে আসল ফোন চেনার উপায় জানা যায়। আসল ফোন চেনার উপায় গুলো জানা থাকলে নতুন মোবাইল কেনার সময় আপনাকে কোন রকম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।

লেটেস্ট কনফিগারেশনের স্মার্টফোনটি আপনার বাজেটের মধ্যে পেতে হলে আসল ফোন চেনার উপায় গুলো জানতে হবে। এছাড়া আপনার পছন্দের স্মার্টফোনটির বাজার দরের পাশাপাশি মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলো জানতে হবে। মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলো জানা থাকলে মোবাইলটি আসল না নকল তা বুঝতে পারবেন।

অনেক সময় আমরা অসতর্কতার কারণে ব্রান্ডেড কোম্পানীগুলোর নকল ফোন কিনে প্রতারিত হই। তাই আসল ফোন চেনার উপায় গুলো এখানে বিস্তারিত থাকছে। মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল ফোনটি আসল না নকল।

ফোনের আইএমইআই কোড খুঁজে বের করার উপায়

সকল অফিসিয়াল ফোন গুলোতে একটি ১৫ ডিজিট এর IMEI কোড থাকে। এই ১৫ ডিজিট এর IMEI কোডটি একটি ফোন আসল না নকল তা জানার জন্য যথেষ্ট। এই ১৫ ডিজিট এর আইএমইআই কোডটি দুটি উপায়ে খুঁজে বের করা যায়। প্রথম টি হল *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই আপনার মোবাইল স্ক্রিনে এই ১৫ ডিজিট এর IMEI কোডটি ভেসে উঠবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হল সেটিংস এর মাধ্যমে। এজন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইলের সেটিংস এ গিয়ে অ্যাবাউট এ ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিনে স্ট্যাটাস এ ক্লিক করলে এই কোডটি দেখতে পাওয়া যায়।

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল এই IMEI কোডটি সম্বন্ধে জানা। IMEI কোডটি পাওয়ার পর যে কোন ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে imei.info ওয়েবসাইটে গিয়ে এই কোডটি সাবমিট করে চেক বাটনে ক্লিক করলে ফোনের সমস্ত তথ্য ভেসে উঠবে। এখানে ফোনের তথ্য না এসে যদি ভিন্ন তথ্য দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে ফোনটি নকল।

এসএমএস এর মাধ্যমে আসল ফোন চেনার উপায়

মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলোর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এসএমএস এর মাধ্যমে মোবাইলটি আসল না নকল তা জানার জন্য আপনাকে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে  KYD, এরপর একটি স্পেস দিয়ে টাইপ করতে হবে ১৫ ডিজিটের IMEI কোডটি। 
ম্যাসেজটি হবে এই রকম - “KYD 123456789ABCXYZ" ।

এরপর ম্যাসেজটি সেন্ড করতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এরপর ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে নিশ্চিত করবে যে ফোনটি আসল না নকল। 

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। অফিসিয়াল ফোনগুলোকে সাধারণত সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করানো হয়। এজন্য এই ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারটি সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়।

একই ভাবে দেশীয় ফোনগুলোর IMEI নাম্বারটিও সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। তাই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম একটু বেশিই হয়ে থাকে। অন্যদিকে নকল ফোনগুলো সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স না দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। ফলে এই ফোনগুলোর দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। এই ফোনগুলো অরিজিনাল ফোনগুলোর মতো দেখতে হলেও ব্যবহার করার সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

মোবাইলের ডিজাইন ও ওজন

সকল বস্তুরই সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার ডিজাইনের উপর।  একটি মোবাইলের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। তাই মোবাইলের ক্ষেত্রে তার ডিজাইন ও ওজন  খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত রুচি ও চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন। সাধারণত বড় মোবাইল গুলোর ব্যাটারী অনেক বড় হওয়ায় ওজন অনেক বেশি হয়।

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল আপনি কেমন ওজনের মোবাইল কিনতে চান। অনেক টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে তো বেশি টাকা দিয়ে ফোনটি কেনার মানেই হয়না। তাই মোবাইল কেনার আগে বিভিন্ন সাইট থেকে মোবাইলের রিভিউ দেখে মোবাইলের ডিজাইন পছন্দ করে নিন।

মোবাইলের ডিসপ্লে বা পর্দার আকার

মোবাইলের ডিসপ্লে যে কোন মোবাইলের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে বা মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস যেগুলো আছে, সেগুলো জানা জরুরী। বর্তমান বাজারের স্মার্টফোন গুলোতে (৫ - ৭) ইঞ্চি হয়ে থাকে। এখন আপনি যদি গেইম খেলতে বা ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন, তাহলে আপনি বড় স্ক্রিনের মোবাইল নিতে পারেন। তবে যে কোন সময় সহজে বহন করার জন্য (৪.৫ - ৫.৫) ইঞ্চির ডিসপ্লে মোবাইল গুলো সুবিধাজনক।

মোবাইলের ডিসপ্লে রেজুলেশন

আসল ফোন চেনার উপায় জানার সাথে সাথে মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের ডিসপ্লে রেজুলেশন এর বিষয়টি। মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মোবাইলের ডিসপ্লে রেজুলেশন সম্বন্ধে জানা।

যে কোন মোবাইলের ভালো ডিসপ্লে বাছা্ইয়ের জন্য ৪টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন, ডিসপ্লে রেজুলেশন, ডিসপ্লে টাইপ, ডিসপ্লে নিটস ও টাচ স্যাম্পলিং রেট। একটি মোবাইলের ডিসপ্লে রেজুলেশন ও পিপিআই যত বেশি হবে, ডিসপ্লের পিকচার কোয়ালিটি ততোই ভালো হবে।

ডিসপ্লে টাইপ

আপনি যদি রাতে বেশি মোবাইল ব্যবহার করতে চান, তাহলে মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের ডিসপ্লে টাইপ। রাতে ব্যবহারের জন্য আপনারে AMOLED টাইপের ডিসপ্লে বাছাই করতে হবে। কারণ, AMOLED টাইপের ডিসপ্লে ব্যাটারী ব্যাকআপ ও ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এর জন্য সবচেয়ে ভালো। আর AMOLED টাইপের ডিসপ্লের মোবাইল গুলো LCD ডিসপ্লের মোবাইলের চেয়ে অনেক হালকা।

ডিসপ্লে নিটস

মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস হল মোবাইলের ডিসপ্লে নিটস সম্বন্ধে জানা। মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কত নিটস তা দেখে কেনা। কারণ, ডিসপ্লে নিটস যত বেশি হবে, ডিসপ্লে ব্রাইটনেস তত বেশি হবে। যাদের দিনের বেলায় বাইরে বেশি মোবাইল ব্যবহার করার প্রয়োজন, তাঁরা ডিসপ্লে ব্রাইটনেস নিটস দেখে নিবেন।

টাচ স্যাম্পলিং রেট

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের টাচ স্যাম্পলিং রেট। টাচ স্যাম্পলিং রেট মোবাইলের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ,আপনার ফোনের টাচ স্যাম্পলিং রেট যত বেশি হবে, আপনি খুব স্মুথলি আপনার স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন। তাই মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই টাচ স্যাম্পলিং রেট বেশি আছে কিনা দেখে নিবেন।

প্যানেল টাইপ

আসল ফোন চেনার উপায় জানার পাশাপাশি আপনাকে মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের প্যানেল টাইপ সম্বন্ধে জানা। বর্তমান আমাদের দেশীয় বাজারে যেসব স্মার্টফোন গুলো আছে, তাদের প্যানেল টাইপের মধ্যে রয়েছে - LCD, TFT, IPS, AMOLED, SUPER AMOLED সহ বেশ  কয়েকটি প্যানেল। 

ডিসপ্লের কালার সহ আরো অনেক কিছু নির্ভর করে ডিসপ্লে প্যানেল এর উপর। LCD ডিসপ্লে প্যানেল থেকে AMOLED ডিসপ্লে প্যানেল বেশি ভালো। তবে AMOLED ডিসপ্লে প্যানেল এর স্মার্টফোন গুলোর দামও কিছুটা বেশি।

মোবাইলের প্রসেসর

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের প্রসেসর সম্বন্ধে জানা। একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের CPU এর সকল কাজ যেমন প্রসেসর করে থাকে। ঠিক তেমনি একটি মোবাইল ফোন পরিচালনার জন্য একটি প্রসেসর প্রয়োজন।

মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস হল মোবাইলের প্রসেসর দেখে কেনা। প্রসেসর হচ্ছে যে কোন স্মার্টফোনের প্রাণ। একটি স্মার্টফোনের প্রসেসর যত বেশি শক্তিশালী হবে, সেই স্মার্টফোনটি তত বেশি স্মুথলি রান করবে। মোবাইলের ভালো পারফরম্যান্স পেতে হলে আপনাকে উন্নত প্রসেসর নির্বাচন করতে হবে।

জিপিআই বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট

মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে জিপিআই বা গ্রফিক্স প্রসেসিং ইউনিট এর উপর খেয়াল রাখা উচিত। ফোনের জিপিআই গেইমিং পারফরম্যান্স, ফ্রেম রেট ও গ্রাফিক্স সহ আরো অনেকগুলো বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে।
আপনার ফোনের স্ক্রিনে যে বিষয় গুলো দেখতে পান যেমন, যেকোন অ্যানিমেশন, নোটিফিকেশন বার সোয়াইপ, কোন অ্যাপ অপেন করার সময় জুম ইন অ্যানিমেশন ইফেক্ট ইত্যাদি বিষয় গুলো জিপিআই বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট করে থাকে। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট পাওয়ারফুল কিনা।

মোবাইলের ক্যামেরা

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মোবাইলের ক্যামেরা। আর মোবাইলের ক্যামেরা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক বিষয় চলে আসে। তাই এখন ক্যামেরার শুধু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো তুলে ধরবো ইনশায়াল্লাহ।

ক্যামেরার কথা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে ক্যামেরার লেন্সের কথা। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের প্রতিযোগীতার বাজারে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ক্যামেরার লেন্সের উপর। লেন্সে যা দেখা যায়, ক্যামেরার সেন্সর সেটাই ফোন মেমোরিতে সংরক্ষণ করে।বর্তমান স্মার্টফোন গুলোতে হাই রেজুলেশন ভিডিও ধারণ ও উন্নত মানের ছবি ক্যাপচার করার জন্য যুক্ত হচ্ছে ডুয়াল লেন্স ও পাওয়ারফুল ইমেজ প্রসেসর।

এরপর আসে ক্যামেরার সেন্সর এর বিষয়টি। মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস এর মধ্যে এটি একটি। সাধারণ সেন্সর এর আকার ১ ইঞ্চির ৩ ভাগের ১ ভাগ হয়ে থাকে। আর সেন্সর এর আকার যত বড় হবে, ক্যামেরার ছবির মানও তত ভালো হবে।

মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলোর মধ্যে এরপর আসে ক্যামেরার মেগাপিক্সেল। তবে ক্যামেরার মান যাচাইয়ের জন্য শুধু মেগাপিক্সেল দেখলেই হবে না। কারণ, যদি সেন্সর ভালো হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিয়েও ভালো ছবি তোলা সম্ভব।

এরপর দেখতে পারেন ক্যামেরার অ্যাপাচার এর বিষয়টি। তবে এখানে অ্যাপাচারের মান যত বেশি হবে, ছবির মানও তত ভালো হবে, বিষয়টি এমন নয়। কারণ অ্যাপাচারের মান কম হলে অ্যাপাচার বড় হয়, ফলে এর মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করবে বেশি। তাই অ্যাপাচারের মান কম হওয়া সত্ত্বেও কম আলোই তোলা ছবি অনেক উজ্জ্বল দেখায়।

মোবাইলের ব্যাটারী

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি। ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের উপর। আপনার যদি দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি ৪০০০ মি. অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী থাকা স্মার্টফোনটি পছন্দ করতে পারেন।

বর্তমান বাজারের স্মার্টফোন গুলোতে (৩০০০ - ৬০০০) মি.অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী দেখতে পাওয়া যায়। তবে আমি রিকমেন্ড করবো যে কমপক্ষে ৩ হাজার মি. অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারীসহ স্মার্টফোনটি নেওয়ার জন্য।

ফাস্ট চার্জিং ও ব্যাটারীর চার্জ ধারণ ক্ষমতা

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে কিনা। কারণ, মোবাইলের ব্যাটারী যত বড় ও শক্তিশালী হোক না কেন, ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকলে খুব কম সময়ে ব্যাটারী চার্জ করা সম্ভব।

মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস হল মোবাইলটি ফাস্ট চার্জিং ও ব্যাটারীর চার্জ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কিনা তা দেখে নেওয়া। কারণ, ফাস্ট চার্জিং এর পাশাপাশি একটি ব্যাটারীর চার্জ ধারণ ক্ষমতা যত বেশি হবে, স্মার্টফোনটি তত বেশি সময় ধরে চার্জ ধরে রাখতে পারবে।

মোবাইলের র‌্যাম

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে বা মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস হল মোবাইলের র‌্যাম দেখে নেওয়া। র‌্যাম হল অস্থায়ী মেমোরী। শুধু মোবাইলই নয়, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা স্মার্টফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল র‌্যাম। কারণ এই র‌্যাম ছাড়া এই ডিভাইসগুলিকে কল্পনাই করা যায় না।

একটি ফোনের র‌্যাম যত বেশি হবে, ফোনটি তত স্মুথলি ব্যাবহার করতে পারবেন। তাই মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের র‌্যাম দেখে কেনা। মোবইলের র‌্যাম কিভাবে দেখবেন বা চেক করবেন মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস টি বলে দিচ্ছি।

এজন্য আপনাকে প্রথমে মোবাইলের Settings অপশনে যেতে হবে। এরপর About Phone অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আরেকটি অপশন পাবেন Device Info. এখানে ক্লিক করুন। এরপর যে পেইজটি আসবে, সেখানে র‌্যামসহ ফোনের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

মোবাইলের রম

মোবাইলের রম হল একটি স্মার্টফোনের স্থায়ী মেমোরী বা স্টোরেজ। অপারেটিং সিস্টেম ও সকল অ্যাপসগুলো ইনস্টল করা থাকে মূলতঃ এই রমে। একটি মেমোরীর বাকি অংশে প্রয়োজনীয় সকল ফাইল, ছবি, গান বা ভিডিও সেভ করে রাখতে পারেন। স্মার্টফোনে ভালো স্পিড পাওয়ার জন্য র‌্যামের পাশাপাশি রমেরও প্রয়োজন আছে।

বর্তমান বাজারের স্মার্টফোন গুলোতে ৮জিবি, ১৬জিবি, ৩২জিবি, ৬৪জিবি, ১২৮ জিবি বা ২৫৬জিবি রমেরও মোবাইল ফোন দেখতে পাওয়া যায়। তাই এক্ষেত্রে আপনি ৩২ জিবি বা ৬৪ জিবি মেমোরী নিতে পারেন। তাই মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস টি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা। তাই আসল ফোন চেনার উপায় জানার পাশাপাশি  আপনাকে মোবাইলের ইন্টারনেট সেবা সম্বন্ধেও জানতে হবে। বর্তমান বাজারের স্মার্টফোন গুলোতে থ্রি-জি বা ফোর-জি সাপোর্টেড ইন্টারনেট সেবা রয়েছে।

থ্রি-জি সাপোর্টেড ফোনের চেয়ে ফোর-জি সাপোর্টেড স্মার্টফোনে বেশি মানের ইন্টারনেট স্পিড পাবেন। আর ৫-জি সাপোর্টেড স্মার্টফোন হলে তো কোন কথায় নয়। তবে আমাদের দেশে এখনো ৫-জি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি। তাই মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস টি খেয়াল করে মোবাইল কিনবেন।

অপারেটিং সিস্টেম

মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে তা হল মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম। একটি স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম মূলতঃ কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মতোই। একেক কোম্পানীর মোবাইলের অপারেটিং ব্যবস্থা একেক রকম।

বর্তমান বাজারের স্মার্টফোন গুলোতে যেসব জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে - Anroid OS, iOS, Windows OS, Apple OS, BlackBerry OS, iPhone OS, Realme UI, Colors ইত্যাদি। তবে সকথেকে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হল Anroid OS. এই সব অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হল Anroid OS অপারেটিং সিস্টেম।

শেষকথা

পরিশেষে বলতে চাই, মোবাইল কেনার আগে যা জানতে হবে ও মোবাইল কেনার আগে করণীয় টিপস গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশাকরি, সেই সাথে আসল ফোন চেনার উপায় গুলোও ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাই আবারও বলছি, মোবাইল কেনার আগে এই সকল বিষয় গুলো ভালো ভাবে দেখে-বুঝে কিনবেন।

আর এতক্ষুণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই রকম আরো নিত্য নতুন টিপস ও ট্রিকস এবং তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে আর্টিকেল পড়তে চাইলে  আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো করে রাখুন। আর এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে রাখুন যাতে অন্যরা উপকৃত হয়। 101

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url