শেখ রাসেল দিবস ২০২৩- শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য
আজকে আমি আলোচনা করবো শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ সম্পর্কে। সেই সাথে আরো থাকছে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য এবং রচনা কবিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নিন শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য এবং কবিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শেখ রাসেল দিবস ২০২৩- শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩
১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার বাংলাদেশ তৈরি গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) করতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঘনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনাব নাজমুল হাসান পেট্রোল বাংলা স্থাপিত শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পন করেন।
এছাড়া পেট্রোবাংলায় অবস্থিত নামাজ ঘরে বাদ জোহর দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পেট্রো বাংলার পরিচালক বিন্দু সহ সংস্থার সর্ব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ সকাল ছয়টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের প্রকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হবে।
সকাল সাড়ে ছয়টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের/ বিভাগ/ দফতর/ সংস্থা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে শেখ রাসেলের প্রকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রোতা জ্ঞাপন করবে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে সাতটা পরিকল্পনার কমিশনের সামনে থেকে ডিআইসিসি প্রাঙ্ক পর্যাপ্ত সবার অংশগ্রহণের বর্ণনাট্য রেলি অনুষ্ঠিত হবে। শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপনের বিস্তারিত তথ্য নিম্নে আলোচনা করা হলো।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই ১৮ অক্টোবর জাতীয় শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ পালন করা হয়। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) প্রধান সমন্বয় কারী হিসেবে শিশু কিশোর পরিশোধের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আজ রোববার রাজধানীর আগারগাও এর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনের সংবাদ সম্মেলনে দিবসের বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি প্রতি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ।
১৮ অক্টোবর তৃতীয় বারের মতো জাতীয় শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন করা হবে। জাতীয় শেখ রাসেল দিবস এর প্রতিপাদ্য "শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অধম্য আত্মশক্তি।" সকাল ছয়টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের প্রকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন সকাল সাড়ে নয়টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বি আই সি সি) দিবসের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজন জেলা তিনটি ভিআইপিতে সেমিনার এবং সন্ধ্যা ছয়টার একই ভ্যেনুতে 'কনসার্ট ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস' অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ ব্যানার
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন আজ ১৮ অক্টোবর। ১৯৬৪ সালের এই দিনে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম নেন শেখ রাসেল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছর থেকে দিনটি জাতীয় শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ হিসেবে পালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদরের ছোট সন্তানের জন্মদিনে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
পৃথক পানিতে প্রাণপ্রিয় ছোট ভাইকে স্মরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর জেষ্ট্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবেগ ঘন বাণীতে তিনি বলেন "শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আছে তার পবিত্র স্মৃতি। বাংলাদেশের সব শিশুর মধ্যে আজো আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। এই শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে, বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে কবিতা
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে একটি কবিতা আবৃত্তি করা হলো-
রাসেল বলছি
রাসেল আমার নাম
ভাই-বোনদের সবার ছোট
তবু খ্যাতি দাম!
ধানমন্ডির বত্রিশে
ছোট্ট প্রিয় ঘর,
হাসি খুশি ভালোবাসা
মায়ারই সাগর!
ফুল পাখি নদ বাঙালি মা'র
চোখে লোনা জল,
কাঁদছে সাগর পুকুর, দীঘির
পদ্ম শতদল!
সবাই দাম, স্মৃতিলয়ে
তাদের লেখা আমি,
ভালোবাসায় আছি তবু
জানেন অন্তর্যামী!
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রচনা
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষে একটি রচনা উল্লেখ করা হলো যেটি পরীক্ষার আগে একবার পরে নিলে সহজেই মুখস্থ হয়ে যাবে। শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রচনাটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
ভূমিকা
শেখ রাসেল সেই সব ব্যক্তিদের একজন যরা পৃথিবীতে অল্প হায়াত নিয়ে এসেছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মম বুলেটের আঘাতে পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছিলো।
বাংলাদেশ স্বাধীন করার ক্ষেত্রে যার নাম প্রথম চলে আসে তিনি হলেন বাঙালি জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিপদ গামী কিছু সৈন্যের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি সপরিবারে নিহত হন। ফুটফুটে শিশু শেখ রাসেলও সেদিন অকল্পনীয় ভাবে ফুটন্ত একটি ফুল অকালেই ঝরে গেলো।
শেখ রাসেলের জন্ম
সময়টা ছিল হেমন্তকাল। বাঙালির প্রতিটি ঘরে ঘরে নতুন ফসল তোলার আনন্দ হিল্লোল বয়ে যাচ্ছিলো। ধানের গন্ধে ম ম করছিলো চারদিক। হেমন্ত উৎসব এবং পিঠা পুলির ধুম পড়েছিল। ঠিক এমনই এক মুহূর্ত আনন্দঘন পরিবেশে জন্মগ্রহণ করছিলেন শেখ রাসেল। শেখ রাসেল জন্মে ছিল ১৯৬৪ সালের অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে মায়ের কোল আলো করে জন্ম নিয়ে শেখ রাসেল। রাসেলের জন্ম হয়েছিল তার বড় বোন শেখ হাসিনার ঘরে। রাসেলের জন্মের কিছুক্ষণ পরপর শেখ হাসিনা এসে একটা ওড়না দিয়ে তার ভেজা মাথা পরিষ্কার করে দেন। জন্মের সময় রাতের ছিলেন স্বাস্থ্যবান। তার জন্ম যেন শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারই নয় সমগ্র জাতির আনন্দ ছিল।
শেখ রাসেলের নামকরণ
সন্তান জন্ম লাভ করলে মা-বাবা আত্মীয়-স্বজন তার একটি চমৎকার নাম রাখার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেক পিতা মাতা সন্তান গর্ভে আসার পরেই সম্ভাব্য নাম ঠিক করে রাখেন। এই নামের পিছনেও থাকা ইতিহাস। স্বপ্ন!
ঠিক তেমনি শেখ রাসেলের নামকরণের পেছনে রয়েছে এক চমৎকার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান শান্তিকামী মানুষ ছিলেন। তিনি কখনোই হানাহানি মারামারি পক্ষে ছিলেন না। যুদ্ধ বিগ্রহ তো তার অপছন্দের তালিকা ছিল। তবে স্বাধীনচেতা ছিলেন। দেশ মাটির মৃত্তিকাকে দেশের শত্রু যাতে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষার উদ্ধারের জন্য আপসহীন ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এসেই অভিশপ্ত রাত সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর নির্মল হত্যাকাণ্ডের কথা আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। একদল বিপথ আমি সেনা কর্মকর্তা দেশে-বিদেশি বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি ষড়যন্ত্রে সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবন ট্যাংক দিয়ে খেয়ে ফেলে। একে একে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। এই দিনই শেষ রাতে বঙ্গবন্ধু এবং ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে সেই রাসেলকে হত্যা করে হত্যা কারিরা।
উপসংহার
১৮ অক্টোবরে জাতীয় শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)-তে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। স্পারসোতে স্থাপিত শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে সকাল ৯:০০ টায় স্পারসোর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ সহ সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী গণের উপস্থিতিতে পুষ্প স্তবক অর্পনে এবং স্পারসো ও অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পারসো র চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল সামাদ। জাতীয় শেখ রাসেল দিবস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবনের বিষয়ে মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন স্পারসোর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (উপসচিব) জনাব মোঃ সানাউল হক। তিনি "শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক" প্রতিপাদ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধে শেখ রাসেলের জন্ম বেড়ে ওঠা, শৈশব স্মৃতি, তৎকালীন স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে জীবন স্মৃতি নিয়ে তথ্য বহুল আলোচনা করেন।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শপথ বাক্য
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উপলক্ষে শপথ বাক্য নিম্নে দেওয়া হলো-
আমি শপথ করছি যে, সর্বাবস্থায় আমি যেন শেখ রাসেলের আদর্শ বুকে ধারণ করে, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে আনতে কাজ করতে পারি। কখনো কোনো বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেব না। সকল ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে দেশের সম্মান বাড়িয়ে তুলতে পারি।
সর্বদা আমি যেন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি।
নিজ ও দেশের কল্যাণে নিজেকে যেন সবসময় সার্বভঙ্গিণী ভাবে প্রস্তুত রাখতে পারি।
এই প্রভু আমাদের গোটা জাতিকে শেখ রাসেলের আদর্শ আমাদের শিশুদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার শক্তি দিন।
দেশের জন্য অবুঝ রাসেলের অবদান সবাইকে উপলব্ধি করা শক্তি দিন।
[21115]
ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url