শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন - শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি?

শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন? শিশুর পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীতা, বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় কি? শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি pdf. কোন বাবা-মা ই চান না যে, তার সন্তান খাবারে অরুচি, পড়ালেখা ও অন্যান্য কাজে অনীহা বা ঝিমিয়ে যাক। এটা কোন  বাবা-মা ই কাম্য করেন না। তবে বর্তমান সময়ে এটাই হয়ে যাচ্ছে। একটু ভাবেন তো এর জন্য কে দায়ী?
হুম! আমাদের বর্তমান খাবার ব্যবস্থা ই হচ্ছে এর প্রধান কারণ। বর্তমান খাবার ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। প্রতিনিয়ত বাচ্চারা বাজারের অস্বাস্থ্যকর ও কেমিক্যাল যুক্ত খাবারের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এইসব খাবার খেলে বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক মেধা বিকাশে বাধাগ্রস্থ করে। তাই শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন তা জানতে হবে।

কি খাবার খেলে বাচ্চারা মোটা হয়? শিশুদের পুষ্টি বেশি প্রয়োজন কেন? শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায়, শিশু স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান, বাচ্চাদের প্রটিন খাবার, শিশুর স্বাথ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শিশুর পুষ্টিকর খাবারের তালিকা, শিশুর স্বাথ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার উপায়, ৪ বছরের বাচ্চার কতটুকু খাবার খাওয়া উচিত, বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি, শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি pdf, শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি? এই সকল বিষয় গুলো থাকবে আজকের আলোচনায়।

পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃশিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন

শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস তৈরির গুরুত্ব

২ বছরের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা, ৪ বছরের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা, ৫ বছরের বাচ্চার কতটুকু খাবার খাওয়া উচিত, ৫ মাসের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা, ৮ মাসের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা এই সব কিছু আপনি আজকের আলোচনা পড়ে জানতে পারবেন।

শিশুর পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীতা। একটি দেশের নাগরিকের ৫টি মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য হচ্ছে অন্যতম। বর্তমান সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক কর্মসূচি হচ্ছে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য বিশ্বে ১৬ অক্টোবর খাদ্য দিবস পালন করা হয়।

প্রতিটি বাবা-মা কে জিজ্ঞেস করলেই জানা যায় যে, শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা কতটা কঠিন। বিশেষ করে শিশুরা যারা স্কুলে যায়, তারা পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে বাজারের অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি খুব সহজেই  আকৃষ্ট হয়। এটা শিশুর শারীরিক ও মানসিক মেধা বিকাশের জন্য খুব ক্ষতিকর।

শিশুরা যেন পুষ্টিকর খাবার পায়, সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। স্কুলগামী শিশুরা যেন স্কুলে বা বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার পায়, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাই আপনাকে শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন তা জানতে হবে। শিশুর পুষ্টিকর খাবারের তালিকা নিয়ে আজকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনার শিশুর শারীরিক ও মানসিক মেধা বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। এইসব উপাদান সমৃদ্ধ খাবার আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যপক ভাবে সাহায্য করবে। তাই শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি

শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি? তা আপনাকে আগে জানতে হবে। তাই শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি? এখন এই পোস্টটি পড়ে জেনে নিন।

অনুকরণের চাহিদাঃ শিশু জন্মের কিছুদিন পর থেকেই সব কিছু শিখতে শুর করে। এই সময় তারা পিতা-মাতা ও পরিবারের সকলকে অনুকরণ করতে থাকে। তাই এই সময় তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বড়দের ভালোবাসা ও মনোযোগ।

খাদ্যের চাহিদাঃ শিশুর সু-স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বা দৈহিক বৃদ্ধি হওয়ার জন্য খাদ্যের চাহিদা দেখা দেয়।

ঘুমের চাহিদাঃ এই সময় যেহেতু শিশুদের সঞ্চালনমূলক বৃদ্ধি খুব বেশি হয়, তাই তাদের ঘুমের চাহিদা খুব বেশি প্রয়োজন।

নিরাপত্তার চাহিদাঃ এই সময় যেহেতু শিশুরা তাদের পিতা-মাতার সাথেই থাকে, তাই তাদের মধ্যে এই সময় নিরাপত্তার চাহিদা সৃষ্টি হয়।

খেলাধূলার চাহিদাঃ শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধূলা খুব জরুরীভাবে প্রয়োজন। তাই এই সময় বাবা-মা ও স্কুলের টিচার শিশুর খেলায় সাহায্য করতে পারে।

সক্রিয়তার চাহিদাঃ শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে স্বাধীনভাবে দৌড়ানো, নড়াচড়া ও চলাফের করতে চায়। তাই এই সময় তাদের সক্রিয়তার চাহিদা দেখা দেয়।

মানসিক ভারসাম্যের চাহিদাঃ শিশুরা খুব অল্পতেই জেদ করে, ভয় পায়। তাই তাদের উপর রেগে না গিয়ে, ধৈর্য ও সহানুভূতি নিয়ে তার আবেগ ও অনুভূতির প্রতি সাড়া দিলে শিশু সুস্থ মন ও মানসিক ভারসাম্য নিয়ে বড় হয়।

পুনরাবৃত্তির চাহিদাঃ 

উৎসাহের চাহিদাঃ শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে বড়দের কাছ থেকে উৎসাহ ও সম্মতি পেতে চায়।

জানার চাহিদাঃ শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের জানার চাহিদা বাড়তে থাকে। যেমন - শিশুদেরকে কোন খেলনা দিলে তা তারা ভেঙ্গে ফেলে এবং তা তারা পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করে।

দলবদ্ধ হওয়ার চাহিদাঃ শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে তারা দলবদ্ধ হয়ে খেলতে চায়। তাই তারা খেলার সময় একা একা খেলতে চায় না, তার সাথে খেলার জন্য কাউকে প্রয়োজন হয়।

প্রতিদ্বন্দিতার চাহিদাঃ শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতার চাহিদা সৃষ্টি হয়। তাই তারা তাদের সম-বয়সীদেরকে তাদের প্রতিদ্বন্দী মনে করে।

বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় - কি খাবার খেলে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো হয়

বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়, কি খাবার খেলে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো হয়? প্রত্যেক বাবা-মা ই তাঁর সন্তানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। কিন্তু সন্তানের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা যে কত কঠিন সেই সব সন্তানের বাবা-মা এর সাথে কথা বললেই তা বুঝা যায়।

৪ বছরের বাচ্চার কতটুকু খাবার খাওয়া উচিত? কি খাবার খেলে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো হয়? তা নিয়ে থাকছে এই আলোচনায়। তাই কি খাবার খেলে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো হয় তা যদি আপনি জানতে চান, তাহলে অনলাইফ আইটি এর সাথেই থাকুন।

পুষ্টির একটি অন্যতম প্রধান উৎস হলো ভিটামিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, পনি, ফলমূল, শাক-সবজি ও আঁশযুক্ত শাক-সবজি। এই সব খাবার শিশুদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শিশুদেরকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বেশির ভাগ শিশুর কাছেই সবজি দিয়ে রান্না করা খাবার পছন্দ করে না। তাই তাদেরকে বিভিন্ন রঙ্গের ফলমূল ও সবজি খেতে উৎসাহিত করতে হবে।

শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন

শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন? একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় থেকেই শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাসের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুকে ছোট বেলা থেকেই সুষম খ্যাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্থ করতে হবে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলেই শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।
শিশুর শারীরিক ও মানসিক মেধা বিকাশে শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন নিচে সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তাই আপনি শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন তা জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

বাসায় তৈরি খাবারে অভ্যস্ত করা

কি খাবার খেলে বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো হয়? বর্তমান সময়ে অনেক বাবা-মা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে তাদের সন্তানকে কেমিক্যালযুক্ত বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে থাকেন। যা শিশুর সু-স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

৪ বছরের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা এর মধ্যে আপনার শিশুকে বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার না দিয়ে বাসায় তৈরি খাবারের প্রতি অভ্যস্ত করতে হবে। এজন্য শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন তা জানার জন্য এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

ফল ও সবজি জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত করা

শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন? বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজি ও আঁশযুক্ত শাক-সবজি হচ্ছে পুষ্টির একটি অন্যতম উৎস। এই সব খাবার শিশুর শারীরিক ও মানসিক মেধা বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক শিশুই এই সব ফলমূল ও সবজি জাতীয় খাবার পছন্দ করে না। তাই আপনার শিশু যেন এই সব খাবার গ্রহণ করে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিভিন্ন রং এর ফলের প্রতি উৎসাহিত করা

শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন? বিভিন্ন রং এর ফল ও সবজির প্রতি আপনার শিশুকে উৎসাহিত করতে হবে। কারণ এই সব ফলমূল ও সবজি শিশুর রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই আপনার শিশুকে আপেল, কলা, কমলা, আঙ্গুর, বেদানা, খেজুর, বাদাম এই সব ফল খাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। কারণ, এই সব ফল অনেক পুষ্টিকর।

শস্যজাতীয় খাবারের প্রতি উৎসাহিত করা

চলুন আরো দেখি শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন? শিশুর বেড়ে উঠা, মেধা বিকাশ ও নতুন কিছু শেখার জন্য শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তি পাওয়া যায় বিভিন্ন শস্যজাতীয় খাবার থেকে। যেমন- ভাত, ওটস, পাস্তা, বার্লি। এই সব শস্যজাতীয় খাবার শিশুর পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে।

বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি বানাতে হবে। এই সব খাবার গ্রহণের ফলে বাচ্চা দীর্ঘ সময় সক্রিয় ও উদ্যমী থাকে। তাই আপনার শিশুকে শস্য জাতীয় খাবার এর প্রতি উৎসাহিত করতে হবে।

দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি উৎসাহিত করা

৫ মাসের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা ও ৮ মাসের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা এর মধ্যে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম এর একটি বড় উৎস হচ্ছে দুগ্ধজাত খাবার। যেমন- দুধ, পনির, দই ইত্যাদি। এই সব খাবার আপনার শিশুর জন্য একটি আদর্শ খাবার। তাই আপনার শিশুকে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন আশা করি বুঝতে পারছেন।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি উৎসাহিত করা

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন চলুন তা জেনে নিই। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- মাছ, মাংশ, ডিম, মটরশুঁটি, মসুর ডাল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এছাড়াও এই সব খাবারে আয়রণ, বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি-১২ ও খনিজ উপাদান আছে।
শিশুদেরকে দীর্ঘ একটা সময় স্কুলে থাকতে হয়। তাই এই সময় টিফিনের জন্য শিশুকে প্রোটিন জাতীয় খাবার দিতে হবে। কারণ, শিশুদের মেধা বিকাশ ও শেখার জন্য মাছের তেল ও চর্বিহীন লাল মাংশ বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাচ্চাদের বাচ্চাদের প্রটিন খাবার খুব জরুরী।

পানি খেতে উৎসাহিত করা

শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায়? শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন? ২ বছরের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা এর মধ্যে আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে উৎসাহিত করতে হবে। বাজারের জুস না দিয়ে বাসায় কম চিনি দিয়ে ফলের জুস বানিয়ে দিন। এটা শিশুর জন্য বেশ উপযোগী।

অতিরিক্ত লবণ ও মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করা

কি খাবার খেলে বাচ্চারা মোটা হয়? অতিরিক্ত লবণ ও মিষ্টি জাতীয় খাবার শিশুর অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সব খাবার ডায়াবেটিস রোগ বহন করতে সহায়তা করে। তাই যেসব খাবারে প্রচুর লবণ ও চিনি থাকে, সেই সব খাবার আপনার শিশুকে দেওয়া বর্জন করতে হবে।

৫ বছরের বাচ্চার কতটুকু খাবার খাওয়া উচিত? শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন আশা করি বুঝতে পারছেন।

শেষ কথা

শেষ কথা হিসেবে একটি কথায় বলতে চাই, শিশুর শারীরিক ও মানসিক মেধা বিকাশে স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা শিশুর একার উপর চাপিয়ে দিলে তা সম্ভব নয়। পরিবারের সবাই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন, তাহলে আপনার শিশুও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে উৎসাহিত হবে।

শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি? ২ বছরের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা, ৪ বছরের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা, ৫ বছরের বাচ্চার কতটুকু খাবার খাওয়া উচিত, ৫ মাসের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা, ৮ মাসের শিশুর শিশুর খাবার তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হলে পুরো পরিবারের মাঝে স্বাস্থকর খ্যাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আশা করি, বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়, শিশুর স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস কিভাবে তৈরি করবেন ও শিশুর স্বাথ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার উপায় কি তা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই পোস্ট টি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা শেয়ার করুন, যাতে অন্যেরাও পড়ে  উপকৃত হতে পারে। আর এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। (শওকত রাশেল)
3

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url