ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় পাঠক, কেমন আছেন সবাই? আজকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখতে বসলাম। আপনি যদি জানতে চান যে, ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টটি পড়ে আপনি ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে।
আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন। মানুষের জীবনে ক্যারিয়ার প্লানিং কেন প্রয়োজন? আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন ক্যারিয়ার কি? ক্যারিয়ার কাকে বলে? ক্যারিয়ার নিয়ে স্টাটাস, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা যেভাবে করবেন, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা pdf, ক্যারিয়ার সচেতনতা, ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন, ক্যারিয়ার শিক্ষার গুরুত্ব প্রতিবেদন।

ক্যারিয়ার শিক্ষা আমাদের জীবনে কিভাবে কাজে লাগছে? ক্যারিয়ার শিক্ষা বলতে কি বুঝ? ক্যারিয়ার বলতে কি বোঝায়? ক্যারিয়ার কেন গুরুত্বপূর্ণ? ক্যারিয়ার শিক্ষার উপাদান কয়টি? বিভিন্ন ধরনের পেশার নাম, ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু কথা? ক্যারিয়ার এর ইংরেজি কি? ক্যারিয়ার প্লানিং? ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায়?  এই সব কিছুই থাকছে আজকের এই আর্টিকেলে।

পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন

ক্যারিয়ার কি

ক্যারিয়ার প্লানিং কেন প্রয়োজন? ও ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি জানার আগে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ক্যারিয়ার কি? ক্যারিয়ার কাকে বলে? ক্যারিয়ার বলতে কি বোঝায়? তাই ক্যারিয়ার কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পারলে আপনি ক্যারিয়ার কেন গুরুত্বপূণ তা বুঝতে পারবেন এবং এরপর আপনি আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করবেন।

career ki? career meaning in bengali. ইংরেজি career এর বাংলা অর্থ হলো জীবনোপায়। অর্থাৎ মানুষ তার জীবিকা নির্বাহের জন্য যে কাজ গ্রহণ করে, তাকে তার জীবনের জীবনোপায় বা ক্যারিয়ার বলে। সকল মানুষের অভাব বা প্রয়োজন আছে। আর তার এই অভাব দূর করার জন্য তিনি একটি কাজ বেছে নেন। আর সহজ কথায় বলতে গেলে তার এই কাজটিকেই তার জীবনের ক্যারিয়ার বলে।

Career এর আভিধানিক অর্থ - জীবনের পথে অগ্রতি, জীবনযাপন, জীবিকা নির্বাহের উপায় ইত্যাদি। Cambridge International Dictionary of English - এ ক্যারিয়ার এর যে সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে, তা হলো- “শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে অর্জিত এমন এক কর্ম যেখানে ব্যক্তির সমগ্র কর্মজীবনে গুণগত এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আসে, দায়িত্বের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবন যাপনে পর্যাপ্ত অর্থের নিশ্চয়তা থাকে।”

ক্যারিয়ার নিয়ে স্টাটাস

নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে স্টাটাস, ক্যারিয়ার গঠন, নিজের দক্ষতা ও সামর্থ। ক্যারিয়ার নিয়ে স্টাটাস দিয়েছেন বিশ্বজয়ী এক অনন্য বীর জুলিয়াস সিজার। তাঁর মতে, “অধিকাংশ মানুষ বড় হতে পারে না, কারণ সে সাহস করে আকাশের মত সুউচ্চ টার্গেটের দিকে তাকাতে পারেনা।”
ক্যারিয়ার নিয়ে স্টাটাস নিচে দেওয়া হলোঃ
  • জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হবে।
  • জীবনকে সুন্দর করতে হলে জীবনে ক্যারিয়ারকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
  • আপনার সময় যখন ভালো যায়, তখনই আপনার ক্যারিয়ার গড়ে নেওয়া উচিৎ।
  • ক্যারিয়ার জীবনে সবাই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। অনেকেই ব্যর্থ হয়।
  • ক্যারিয়ারে যদি আপনি ব্যর্থ হন, তাহলে আপনি সকল জায়গায় অবহেলিত হবেন।
  • তাই নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সময় অন্য কিছু না ভেবে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যাস্ত থাকুন।

ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায়

ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায়? তা নিয়ে যদি আপনি ভাবতে থাকেন, বা ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায় তা আপনি জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ পড়ুন। নিচে ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায় সে সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলোঃ
  • নিজেকে ভালো রাখতে হলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারকে মূল্য দিতে হবে।
  • আজনার জীবন থেকে যদি অভাব-অনটন সরাতে চান, তাহলে ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
  • আপনি যদি জীবনে সুখি হতে চান, জীবনে যদি ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে নিজেকে পরিশ্রমী করে তুলুন।
  • আপনার জীবনে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
  • ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে, আপনাকে সময়ের মূল্য দিতে হবে।
  • ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে জীবনের সব লক্ষ ঠিক রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই আপনার জীবনে সফলতা আসবে।

ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন

প্রিয় পাঠক, আমার আরেকটি আর্টিকেলে ক্যারিয়ার প্লানিং কেন প্রয়োজন, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল। তাই আজকের আলোচনায় সেটি নিয়ে আর না লিখে আজ লিখবো ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি যদি আপনি জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

অদূর ভবিষ্যতে কার্যসমষ্টির অগ্রিম সুনিশ্চিত বিবরণই পরিকল্পনা। আপনি কোথায় আছেন এবং ভবিষ্যতে কোথায় যেতে চান, এটা তার মধ্যকার সেতুবন্ধন।

ক্যারিয়ার সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতিকেই ক্যারিয়ার প্লানিং বলে। ক্যারিয়ার প্লানিং হচ্ছে জীবনব্যাপি একটি নিরন্তর প্রচেষ্টার নাম যা পেশা নির্ধারণ, চাকুরী, চাকুরীর সাথে জীবনযাপন, চাকুরী থেকে অবসর, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করে।

বাস্তবসম্মত, সময়োপযোগী এবং পছন্দসই ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার প্লানিং মূলত সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, ক্যারিয়ার প্লানিং তাদের যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে।

তাছাড়া শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চাকুরী খোঁজার ক্ষেত্রেও একজন ক্যারিয়ার সচেতন মানুষের জন্য ক্যারয়ার প্লানিং এর সহযোগীতা অপরিহার্য। ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কেন করা উচিত? আশা করি, তা বুঝতে পেরেছেন।

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করবেন যেভাবে

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করবেন যেভাবে, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কি, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা pdf, ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কাকে বলে? ক্যারিয়ার গঠনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ভূমিকা, নিজের ক্যারিয়ার গড়ার উপায়, ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু কথা এই সবকিছু এই পোস্টটি সম্পূর্ণ  পড়লে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। 

প্রয়োজনীয় শিক্ষা শেষে কোন পেশায় প্রবেশের পূর্বে একজন ব্যক্তিকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। বাংলাদেশের চাকুরীর বাজার অত্যন্ত প্রতিযোগীতাপূর্ণ হওয়ার ফলে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়টি সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ এবং বিবেচনা প্রসূত হওয়া প্রয়োজন।
চাকুরীপ্রার্থীদের চারস্তর বিশিষ্ট নিম্নলিখিত ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতিটি বিবেচনা করা উচিত।

আত্মপ্রকৃতি যাচাই

ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতির প্রথমেই আপনাকে আত্মপ্রকৃতি যাচাই করতে হবে। নিজের প্রকৃতি বিরুদ্ধ কোন পেশা সর্বাঙ্গীন সফলতা আনতে পারে না। এই কারণে ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতির এই স্তরে একজন চাকুরীপ্রার্থীকে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যাশিত চাকুরীটি যেন তার সহজাত পছন্দ বা আগ্রহ এবং আদর্শ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী না হয় এবং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আদর্শকে লালন করার অধিকার ক্ষূন্ন না করে।

এছাড়া এই স্তরে শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক দক্ষতাকে সামনে রেখে পেশা পছন্দ করা জরুরী। কারণ শিক্ষা জীবনে অর্জিত বিষয়ই যদি কর্মক্ষেত্রের বিষয় হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।

পেশা নির্বাচনের উপায়

পেশা নির্বাচনের উপায় ক্যারিয়ার গঠনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সীমিত ধারণার উপর ভিত্তি করে কোন পেশাকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় নেওয়া উচিত নয়। কাঙ্খিত পেশাটি ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় স্থান দেওয়ার পূর্বে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা খুবই জরুরী। পেশা সম্পর্কে ধারণা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বিষয় গুলোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তা হলো-
  • সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ
  • পেশাদার ক্যারিয়ার কাউন্সিলরদের কাউন্সিলিং
  • পেশার ক্ষেত্রসমূহে যেমন-অফিস, আদালত, মিল, ফ্যাক্টরী ইত্যাদিতে সরিজমিনে ভ্রমণ
  • খন্ডকালীন চাকুরী, Internships, Volunteer সার্ভিসের মাধ্যমে
  • সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে লিখিত বই এবং তথ্যবহুল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।

পেশা নির্দিষ্ট করণ

পেশা নির্দিষ্ট করণ ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই স্তরে একজন প্রার্থী নিম্নলিখিত পদ্ধিতি গুলো অনুসরণ করবেন-
  • সম্ভাব্য পেশাকে নির্দিষ্ট করবে
  • এই পেশাকে মূল্যায়ন করবে
  • ব্যতিক্রম কিছু থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে
  • পেশা অর্জনের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী উভয় অপশন ই নির্ধারণ করবে।

পেশা অর্জনের প্রয়োজনীয় উপকরণ

ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি এর এই স্তরে পেশা অর্জনের প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্তরে একজন প্রার্থী প্রতাশিত চাকুরীটি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানগত এবং উপকরণগত উন্নতি করার চেষ্টা করবে। এই প্রসঙ্গে নিম্ন লিখিত বিষয় গুলো ফলো করতে হবে-
  • প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত শিক্ষা বা ট্রেইনিং এর উৎসগুলো তদন্ত করবে
  • চাকুরী খোঁজার কৌশল নির্ধারণ করবে
  • Resume বা জীবন বৃতান্ত লিখবে
  • চাকুরীর সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্ততি নিবে
  • ভালো আবেদনপত্র লিখার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
  • প্রয়োজনে কোচিং এর সাহায্য নেবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনার মূল বিষয় বস্তু ছিল ক্যারিয়ার প্লানিং পদ্ধতি কিভাবে করবেন? ক্যারিয়ার কি? ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায়? আশা করি, এই সকল বিষয় গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাই শেষ কথা হিসেবে আরেকটি কথা বলতে চাই।

প্রকৃত পক্ষে এক এক পেশার দাবি এক এক ধরণের গুনাবলী। কে কোন পেশায় যাওয়ার উপযোগী তা নির্ধারিত হয়ে থাকে বহুলাংশে তার সহজাত গুণাবলীর উপর। এই গুণাবলী এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ ধরে হিসেব করতে হয় কে কোন পেশায় নিয়োজিত করবে নিজেকে।

বর্তমান সময়ে পৃথিবী খুব প্রতিযোগীতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ দেশের অবস্থাতো আরো বেশি গুরুতর। জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের দেশে সুযোগ সুবিধা তেমন নেই। এই অবস্থায় একটি সুন্দর পেশা অর্জন প্রকৃত অর্থেই সুকঠিন হয়ে পড়েছে।

বর্তমান সময়ে এ দেশের যে কোন যুবকের পার্থিব জীবনের প্রয়োজনে এই অর্জনটুকুর জন্যে ঘাম ঝড়াতে হয় বহুদিন যাবৎ। প্রশ্ন হলো, এতো কিছুর পরেও কি সবাই জীবনে সফল হতে পারে?

শেষ কথা হিসেবে বলবো, আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে এই পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাখুন, যাতে অন্যেরাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। (শওকত রাশেল)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ানলাইফ আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url